প্রথম ছবি তে আমার সাথে আছে ফাহিম।
দ্বিতীয় তে রিয়াজ।
মিরপুর দুই এ গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্ট। কিছুক্ষণ পরেই হাজির রিয়াজ। জিজ্ঞেস করলাম রিয়াজ কার নাম জানো?? বললো, এই নামে একজন নায়ক আছে। নাম জানি কিন্তু চিনি না। একটা হলুদ চন্দ্রমল্লিকা বের করে আমাকে বললো, এটা তোমার জন্য। রিয়াজের বাবা নেই। মা বাসায় কাজ করে। আছে একটা ছোট বোন। বড়ো অদূরে ছেলে একটা। মাশা আল্লাহ, যেমন কথায় মিষ্টি, তেমনি তার চেহারা আচরণে।
তার একটু পরেই আসলো ফাহিম সেই হাতে এক বালতি ফুল। আবারও তার কাছে উপহার পেলাম একটা হলুদ গোলাপ আর একটা লাল গোলাপ। তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড় ফাহিম। ১০ বছরের বাচ্চা টা বাকি দুই ভাই এর দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট কার্যকর।মা তার বাসায় কাজ করে, আর বাবা নিরুদ্দেশ। দ্বিতীয় দিনেও গেলাম আবার সেখানে। আবারও দেখা ফাহিম এর সাথে। বললো, আমার কাছে তো সাদা গোলাপ নেই, তোমাকে একটা গাজরা পড়িয়ে দেই। তোমার জন্য এটা দিলাম। এত আদুরে একটা বাচ্চা।
এই নিষ্পাপ চেহারা গুলো নিজেকে বড়ো অসহায় বোধ করায়। কেন যে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ অমামর হাত টা ছোট করে দিয়েছেন!! কেন যে আল্লাহ্ আরেকটু হাতে বড়ো কিছু দিলেন না যা দিয়ে এই ছোট আর নিষ্পাপ বাচ্চা গুলোকে বড়ো সপ্ন দেখাতে পারি!!
#Noyli #noyligroup #noylipetroleum #Auraa #Urvashi #Rushgold #Ridley #noyli_foundation
বেশ কিছুদিন আগের একটা গল্প share করি।
ঘড়ির কাঁটা তখন প্রায় দশটা ছুঁইছুঁই, অবশ্যই সেটা রাত্রি কালীন। হটাৎ করেই মন চাইলো একটু রিকশা নিয়ে ঢাকা শহর দেখি। সেই মোতাবেক রিকশা যোগে ঘুরতে ঘুরতে মিরপুর ১২ তে পৌঁছে নামলাম একটা drinks parlour এর সামনে। নেমে এক গ্লাস chocolate milk shake অর্ডার করলাম, বলাই বাহুল্য আমার সবচেয়ে প্রিয় পানীয় আর আমি সবজায়গায় গিয়ে এটাই খোঁজ করি।
সে যাই হোক, কিছুক্ষণের মধ্যেই বাচ্চা একটা মেয়ে এসে হাজির। বয়স বড়জোর পাঁচ কি সর্বোচ্চ ছয় হবে। নাকে নাকফুল আর কানে ছোট্ট রিং ঝুলানো। এইটুকু মেয়ের নাক ফুরানো!! দেখে একটু অবাকই হলাম। কিন্তু ছোট্ট মায়া ভরা মুখখানায় নাকফুল আর কানের দুল যেন অপার্থিব এক মায়ার অবতারণা করেছে। কাছে এসে বললো আমিও জুস খাবো। একটা ড্রিঙ্কস কিনে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম তোমার নাম কি?? জানালো তার নাম আমেনা।
জানতে চাইলাম, বাবা মা কই? বলে, বাবা cng চালায় জুয়া খেলে। আর মায় বোতল কুড়ায়। আবারও জিজ্ঞেস করলাম, বাবা কি করে?? বলে, cng চালায় জুয়া খেলে!! ছোটো এই বাচ্চাটার কাছে তার বাবার cng চালানো আর জুয়া খেলা দুটোই যেন পেশা।
একটু অবাক হয়েছি বটে, কিন্তু ঠিক পর মুহূর্তেই অবাক হওয়া কেটে গিয়ে নিজের অক্ষমতার সামনে নিথর হলাম। আসার সময় আমেনার আবদার, ফুল কিনে দেন তাও আবার ফুল দিয়ে বানানো মাথায় পড়ার bandena। দোকানী কে বললাম তার পছন্দ অনুযায়ী ফুল দিয়ে যেন তাকে bandena বানিয়ে দেয়া হয়। মহা খুশী ছোট্ট আমেনা। এই হাসি লক্ষ কোটি টাকা দিয়েও কেনা যায় না।
বি দ্রঃ — সেদিন আমেনার কোনো ছবি তোলার কথা মাথায় আসে নি। যদিও, ছবি তুলে রাখাটা জরুরী বলে মনেও করি না। স্মৃতি তো টুকে রেখেছি মনের ডায়েরিতে।।
#noyli_foundation #noyligroup #urvashi #Auraa
গত 3/5/24 তারিখে তাহসিনের জন্মদিন ছিল। জন্মদিন কে কেন্দ্র করে Noyli Foundation এর পক্ষ থেকে পথ শিশুদের নিয়ে Mr.Bakar এর একটি কেক কাটা হয় এবং পরবর্তীতে কেক শিশুদের মাঝে বিতরণ করা হয়। শিশুরা কেক খেয়ে খুব খুশি হয়েছে এবং তারা বিভিন্নভাবে তাদের আনন্দ প্রকাশ করেছেন যা বুঝা যায় শিশুদের কেক খাওয়ার ধরন দেখে তারা খুব তৃপ্তি নিয়ে কেক গুলো খেয়েছে।
আমাদের Noyli Foundation এর পক্ষ থেকে এই পথ শিশুদের কিছুটা সময় আনন্দ দিতে পেরে কিংবা কিছুটা সময় তাদের পাশে থাকতে পেরে আমাদের খুবই ভালো লেগেছে ।আগামীতেও আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে
Copyright 2018 Noyli – All Rights Reserved By noyligroup.com